জমি রেজিস্ট্রি খরচ কত ২০২৪

Rate this post

আজকে আমরা আলোচনা করব আপনাদের মাঝে জমি রেজিস্ট্রি খরচ কত ২০২৪ এই বিষয় নিয়ে। বাংলাদেশে জমি রেজিস্ট্রেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা ব্যক্তিদের এবং ব্যবসায়ীদের জন্য আইনগত সুরক্ষা প্রদান করে। জমির মালিকানা সঠিকভাবে রেকর্ড করা না হলে ভবিষ্যতে জটিলতা দেখা দিতে পারে।

বিক্রেতার নিকট থেকে জমি ক্রয়ের পরে জমি টি নিজের নামে তালিকাভুক্ত করার জন্য দলিল রেজিস্ট্রি করতে হয়। রেজিস্ট্রেশন না করলে জমি বিক্রেতার নামেই তালিকাভুক্ত হয়ে থেকে যায়। দলিল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ফি প্রদান করতে হয়। দলিলের ধরন ভেদে দলিলের রেজিস্ট্রেশন ফি ভিন্ন হয়ে থাকে।

রেজিস্ট্রি খরচ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে ফি নির্ণয় করা অনেক সহজ। কারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে ফি নির্ণয় করলে আলাদা আলাদা ভাবে % হিসাব করে যোগ বিয়োগ বা গুন করে ফি নির্ণয় করা লাগবে না। এতে সময় বেচে যাবে। এবং ভুল যাওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কম থাকে। কিন্তু ক্যালকুলেটরে সর্বশেষ আপডেট নাও থাকতে পারে তাই ম্যানুয়ালি রেজিস্ট্রেশন ফি হিসাব করাটা সুবিধা জনক।

জমি রেজিস্ট্রেশন কি?

জমি রেজিস্ট্রেশন হল একটি আইনগত প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জমির মালিকানা এবং এর সাথে সম্পর্কিত তথ্য সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে রেকর্ড করা হয়। এই প্রক্রিয়াটি আইনগতভাবে জমির মালিকানা প্রমাণিত করতে সহায়তা করে এবং জমির ক্রয়-বিক্রয়ে স্বচ্ছতা আনে। বাংলাদেশে জমি রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯০৮ অনুসারে পরিচালিত হয়, যা জমির অধিকার ও ব্যবহার নিশ্চিত করে।

দলিল ভেদে জমি রেজিস্ট্রেশন খরচ

  • বাংলাদেশের সম্পত্তি রেজিস্ট্রি ফি
  • ক্রেতা ক্রয় মূল্যের ১% রেজিস্ট্রি ফি
  • ১.৫% স্ট্যাম্প ডিউটি
  • ৩% বিক্রয় কর ও
  • ২% স্থানীয় সরকার করের ক্ষেত্রে প্রদান করবে।

বর্তমান নিবন্ধন ফি সামগ্রিক খরচের ১০ শতাংশ। পূর্বে নিবন্ধন ফি ছিল সামগ্রিক খরচের ১৪ শতাংশ। 

রেজিস্ট্রি ফিস

হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ১% টাকা। দলিলের মূল্য ২৪০০০ টাকা কিংবা তার কম হহলে নগদ অর্থে এবং ২৪০০০ টাকার বেশি হলে পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং ১৪২২২০১ তে জমা করতে হবে ।

স্টাম্প ডিউটি: হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ১.৫% । দলিলে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্টাম ব্যবহার করা যাবে। স্টাম খাতের বাকি অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিঃ এ কোড নং ১১৬২১০২ তে জমা করতে হবে। ( পুরাতন কোড ১৩১১)

স্থানীয় সরকার কর: ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং সিটি কর্পোরেশন এর অধীন সম্পত্তি হলে হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ২% টাকা, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ৩% টাকা।

উৎস কর: আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৫৩এইচ ধারার কর আরোপ করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এস,আর,ও নং ১৮৪ আয়কর / ২০১৪ তারিখ ১ জুলাই,  ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর বিধিমালায় ( সতের, রোমান দুই) ক্রমিক নতুন বিধি সন্নিবেশের মাধ্যমে পুরো দেশের জমি রেজিস্ট্রি কালে তিনটি তফসিল অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে উৎস কর হার নির্দিষ্ট করা হয়। 

  • তফসিল(a)
  • তফসিল(b)
  • তফসিল(c)
Source:Youtube

তফসিল তিনটির ব্যাখ্যা দেওয়া হলো নিম্নে-

তফসিল [a] 

নিচে উল্লেখিত বাণিজ্যিক এলাকার ভূমি, বিল্ডিং ও ভূমি এর জন্য কাঠা প্রতি ( ১ কাঠা = ১.৬৫ শতাংশ)  উৎস কর হার

  • ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকার দলিলের মূল্যের উপর ৪% টাকা হারে। 
  • ঢাকার গুলশান, মতিঝিল, মতিঝিল সসম্প্রসারিত এলাকা, দিলখুশা, নর্থ-সাউথ রোড, বনানী এবং মহাখালী এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৪% টাকা হারে কিংবা প্রতি কাঠা ১০,৮০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যা বেশি।  
  • ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এবং নারায়ণগঞ্জ, বাড্ডা, পোস্তগোলা এবং ঢাকার গেন্ডারিয়ায় দলিলের মূল্যের উপর ৪% টাকা হারে।
  • চট্টগ্রাম জেলার আগ্রাবাদ এবং সিডিএ এভিনিউ দলিল মূল্যের উপর ৪% টাকা হারে। কিংবা ৩,৬০,০০০/= টাকার মধ্যে যা বেশি।
  • ঢাকার শাহাবাগ, বাংলামোটর, কাকরাইল এ দলিলের মূল্যের উপর ৪% টাকা হারে কিংবা প্রতি কাঠা ৬ লাখ টাকা র মধ্যে যেইটা বেশি। 
  • ঢাকার ফুলবাড়িয়া ও নবাবপুর এর দলিলের মূল্যের উপর ৪% টাকা হারে কিংবা প্রতি কাঠা ৩ লাখ টাকার মধ্যে যা বেশি।

তফসিল[b]

নিচে উল্লেখিত এলাকার ভূমি, বিল্ডিং ও ভূমির জন্য কাঠা প্রতি ( ১ কাঠা = ১.৬৫ শতাংশ ) উৎস কর হার

  • ঢাকাস্থ উত্তরা (সেক্টর ১-৯), খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকা, আজিমপুর,বারিধারা ডিওএইচএস, বসুন্ধরা( ব্লক- এ থেকে জি পযন্ত),নাসিরবাদ, রাজারবাগ ও মেহেদীবাগ এলাকার দলিলের মূল্যের উপর ৪% টাকা হারে কিংবা প্রতি কাঠা ৯০ হাজার টাকা এর মধ্যে বেশি। 
  • ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে কিংবা প্রতি কাঠা ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা র মধ্যে বেশি।
  • ঢাকার গুলশান, বারিধারা এবং বনানী এলাকার দলিলের মূল্যের উপর ৪% টাকা হারে কিংবা প্রতি কাঠা ৩ লাখ টাকার মধ্যে বেশি। 
  • ঢাকার বিজয়নগর, গ্রীণ রোড,সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, আরামবাগ,তেজগাঁও শিল্প এলাকা,মগবাজার ( মূল সড়ক হতে ১০০ ফুটের মধ্যে অবস্থিত), শেরে বাংলানগর প্রশাসনিক এলাকা,লালমাটিয়া, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, চট্টগ্রাম এর খুলশী এলাকা এবং মহাখালী ডিওএইচএস এলাকার দলিলের মূল্যের উপর ৪% হার কিংবা প্রতি কাঠা ১লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে বেশি। 
  • ঢাকার গ্রীন রোড ( ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৩ নং হতে ৮ নং রোড পযন্ত) দলিল মূল্যে র উপর ৪% হারে কিংবা প্রতি কাঠা ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে বেশি।  
  • ঢাকার সেগুনবাগিচা, ইস্কাটন, গীন রোড, কাকরাইল, এলিফ্যান্ট রোড এলাকা র দলিল মূল্যে র উপর ৪% হারে কিংবা প্রতি কাঠা ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে বেশি। 
  • নিকুঞ্জ (উত্তর), নিকুঞ্জ (দক্ষিণ), বাড্ডা পুনর্বাসন এলাকা, গেন্ডারিয়া পুনর্বাসন এলাকা, আইজ বাগান পুনর্বাসন এলাকা,  টঙ্গী শিল্প এলাকার দলিলের মূল্যের উপর ৪% হারে কিংবা প্রতি কাঠা ৬০ হাজার টাকার মধ্যে বেশি। 
  • পোস্তগোলা শিল্প এলাকা, শ্যামপুর শিল্প এলাকা এবং জুরাইন শিল্প এলাকা দলিলের মূল্যে র উপর ৪% হারে কিংবা প্রতি কাঠা ৪৮ হাজার টাকার মধ্যে বেশি। 
  • পুনর্বাসন এলাকা, রাজারবাগ পুনর্বাসন এলাকার ( চল্লিশ ফুট রাস্তার পাশে এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ রাস্তার পাশে) দলিলের মূল্যে র উপর ৪% হারে কিংবা প্রতি কাঠা ৭২ হাজার টাকা র মধ্যে বেশি।
  • গোড়ান( রাস্তার পাশে চল্লিশ ফুট) এবং হাজারিবাগ ট্যানারি এলাকার দলিলের মূল্যের উপর ৪% হারে কিংবা প্রতি কাঠা ৩০ হাজার টাকা র মধ্যে যেইটা বেশি।

তফসিল[c ]

নিচে উল্লেখিত এলাকার ভূমি, বিল্ডিং ও ভূমি এর জন্য কাঠা প্রতি ( ১ কাঠা = ১.৬৫ শতাংশ)  উৎস কর হার

  • রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্রগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর অধীন উপযুক্ত তফসিল  [a] এবং তফসিল [b] তে উল্লিখিত এলাকা ব্যতীত অন্যান্য এলাকার জন্য দলিলের মূল্যের উপর ৪% টাকা।
  • চট্রগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ব্যতীত গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ব্যাতিত রেখে অন্যান্য যে কোনো সিটি কর্পোরেশন এলাকা র জন্য দলিলের মূল্যের উপর ৩% টাকা।
  • জেলা সদর গুলোর পৌরসভা ব্যাতিত অন্য সব পৌরসভার জন্য দলিলের মূল্যের উপর ২% টাকা।
  • সকল জেলা সদরের পৌরসভার জন্য দলিলের মূল্যের উপর ৩%৳।
  • উক্ত তিনটি তফসিল মানে তফসিল [a], [b] এবং [c] তফসিল এ উল্লেখ করা হয় নাই সেই সকল এলাকার জন্য দলিলের মূল্যে র উপর ১% টাকা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পরে, তাদের গত খ্রিস্টাব্দ ০৯-০৭-২০১৪ তারিখের নথি নং ০৮.০১.০০০০.০৩০.০৩.০০৮.২০১৪/৫৬, পরিপত্র নং ১ (আয়কর) এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা 53H ও আয়কর বিধিমালা, (সতের রোমান দুই) তে আনীত সংশোধনের ব্যাপারে স্পষ্টকৃত পরিপত্র জারি করে, যা নিচে দেওয়া হলো –

  • গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকা জেলার যে সব জমি এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধিন গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দ্বারা ইতোপূর্বে বরাদ্দ হয়েছিল, সে সব জমি পরবর্তীতে বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রির জন্য আয়কর বিধিমালা (সতের রোমান দুই) তে উল্লেখিত তফসিল নং (a) এবং তফসিল নং (b) তে বর্ণিত হারে কর আদায় করতে হবে। এবং অন্য সব জমি বিক্রিয় দলিল রেজিস্ট্রির জন্য আয়কর বিধিমালা (সতের রোমান দুই) তে উল্লেখিত তফসিল নং 
  • (c) তে বর্নিত হারে কর আদায় করতে হবে। 
  • খুলশি, হালিশহর,পাঁচলাইশ, চট্রগ্রাম জেলার আগ্রাবাদ (বানিজ্যিক এবং আবাসিক এলাকা), সিডিএ এভিনিউ ও মেহেদীবাগ এলাকায় যে সব জমি কিংবা স্থাপনা গৃহায়ণ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এর নিয়ন্ত্রণাধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ দ্বারা ইতোপূর্বে বরাদ্দ হয়েছিল,  সে সব জমি বিক্রিয় দলিল রেজিস্ট্রির জন্য আয়কর বিধিমালা (সতের রোমান দুই) তে উল্লেখিত তফসিল নং a, এবং তফসিল নং b তে বর্ণিত হারে কর আদায় করতে হবে। অন্যান্য জমি বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রির জন্য আয়কর বিধিমালা (সতের রোমান দুই) তে উল্লেখিত তফসিল নং c তে বর্ণিত হারে কর আদায় করতে হবে।  
  • ঢাকা জেলার বসুন্ধরা (এ- ব্লক থেকে জি- ব্লক পযন্ত) এবং নিকেতন আবাসিক এলাকার দলিল রেজিস্ট্রির জন্য তফসিল নং b এর দফা (১) তে বর্ণিত হারে কর আদায় করতে হবে। 
  • গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ,নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, নরসিংদী ও চট্রগ্রাম জেলার রাজউক এবং সিডিএ এর অধিক্ষেরাধিন এলাকা বাদে সকল এলাকায় দলিলের মূল্যে র ৩% হারে কর আদায় করতে হবে। 

উৎস করের অর্থ সোনালী ব্যাংক লিঃ এর স্থানীয় শাখায় কোড নং ১১১১১০১ তে জমা করে পে- অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। 

ভ্যাট

ভবন নির্মাণ সংস্থার ক্ষেত্রে ভ্যাট:

  •  ফ্লাট এর আয়তন ১৬০০ বর্গফুট পর্যন্ত হলে দলিলের মূল্যের ২% টাকা।
  • ফ্লাট এর আয়তন ১৬০১ বর্গফুট এর বেশি হলে দলিল মূল্যের ৪.৫% টাকা।
  • পুনঃরেজিস্ট্রি র জন্য যে কোনো আয়তনের ফ্লাটের জন্য দলিলের মূল্যের ২% টাকা।
  • ভূমি উন্নয়ন সংস্থার ক্ষেত্রে – দলিল মূল্যের ৩% টাকা

কিছু তথ্য

সম্পত্তি হস্তান্তর নোটিশের আবেদন পত্রে ১০ টাকা দামের কোর্ট ফি।

  • ই-ফিঃ – ১০০ টাকা।
  • এন -ফি:- 
  1. ইংরেজি তে প্রতি তিনশত শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্টার জন্য ২৪ টাকা।
  2. বাংলাতে প্রতি তিনশত শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্টার জন্য ১৬টাকা। 
  • ৩০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা।
  • এনএন ফিস- 

(১) বাংলাতে প্রতি তিনশত শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্টার জন্য ২৪৳।

(২) ইংরেজি তে প্রতি তিনশত শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্টার জন্য ৩৬ টাকা।

জমি রেজিস্ট্রির প্রক্রিয়া

জমির দখল

জমি রেজিস্ট্রেশন শুরু করার আগে প্রথমে জমির দখল নিতে হবে। দখল নেওয়ার প্রক্রিয়া সাধারণত স্থানীয় ভূমি অফিসে শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ায় জমির মাপ, সীমা ও স্থানীয় সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন।

নথিপত্র প্রস্তুতি

জমির রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রস্তুত করা গুরুত্বপূর্ণ। এতে জমির মিউটেশন সনদ, বিক্রয় চুক্তি, এবং জমির মালিকের পরিচয়পত্র অন্তর্ভুক্ত থাকে।

সরকারি ফি ও খরচ

জমি রেজিস্ট্রেশন করতে হলে কিছু সরকারি ফি ও খরচ রয়েছে। ২০২৪ সালে জমি রেজিস্ট্রেশন খরচ কত তা নির্ভর করে জমির মূল্য এবং রেজিস্ট্রেশনের স্থানের উপর। সাধারণত, জমির মূল্য অনুযায়ী ২% থেকে ৫% পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন ফি ধরা হয়। এছাড়া, বিভিন্ন প্রকার ট্যাক্সও দিতে হতে পারে।

উদাহরণ:

একটি জমির মূল্য যদি ১০,০০,০০০ টাকা হয়, তবে জমি রেজিস্ট্রেশন খরচ প্রায় ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।

বাস্তব উদাহরণ

সফল রেজিস্ট্রেশন কেস ১: শহুরে জমি

একজন উদ্যোক্তা ঢাকা শহরে একটি বাণিজ্যিক জমি কিনেছিলেন। তিনি জমির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করার সময় স্থানীয় ভূমি অফিসের সহায়তা নিয়ে সহজেই প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রস্তুত করেন। জমির মূল্য ছিল ১৫,০০,০০০ টাকা, এবং মোট রেজিস্ট্রেশন খরচ ছিল ৩৫,০০০ টাকা। এই প্রক্রিয়া তাকে জমির আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে সাহায্য করে।

সফল রেজিস্ট্রেশন কেস ২: গ্রামীণ জমি

একটি গ্রামে একটি পরিবার জমি ক্রয় করে এবং জমির রেজিস্ট্রেশন করতে যায়। তাদের জমির মূল্য ছিল ৫,০০,০০০ টাকা। তারা জমির রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে জানতে পারে যে, তাদের জন্য সরকারী অফিসে বিভিন্ন ছাড় পাওয়ার সুযোগ আছে, যার ফলে তাদের খরচ কমে যায়। তারা শেষমেষ ১০,০০০ টাকার মধ্যে জমির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে এবং তা তাদের জন্য একটি দারুণ সফলতা হয়ে ওঠে।

জমি রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা

  • আইনগত সুরক্ষা: জমির মালিকানা সঠিকভাবে রেকর্ড করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে যেকোনো আইনি জটিলতা এড়ানো সম্ভব হয়।
  • ব্যবসায়িক নিরাপত্তা: ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে জমির মালিকানা নিশ্চিত করে বিনিয়োগের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে।
  • ঋণের সুবিধা: রেজিস্ট্রিকৃত জমি নিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।

আরও জানুনঃ

FAQ

জমি রেজিস্ট্রি খরচ কত ২০২৪?

জমি রেজিস্ট্রি খরচ ২০২৪ সালে জমির মূল্য অনুযায়ী ২% থেকে ৫% পর্যন্ত।

জমি রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়ায় কত দিন সময় লাগে?

সাধারণত, জমি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় ১-২ সপ্তাহ সময় লাগে, তবে এটি স্থানীয় প্রশাসনের কার্যক্রমের উপর নির্ভর করে।

জমি রেজিস্ট্রেশনের জন্য কি ধরনের নথিপত্র প্রয়োজন?

জমি রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্রের মধ্যে জমির মিউটেশন সনদ, বিক্রয় চুক্তি, এবং মালিকের পরিচয়পত্র অন্তর্ভুক্ত থাকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *