আজকে আমরা আলোচনা করব আপনাদের মাঝে Eastern Bank credit Card নিয়ে। ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (EBL) বাংলাদেশের অন্যতম বড় বেসরকারি ব্যাংক। তারা বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড অফার করে, যা গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবনে সুবিধা প্রদান করে।
ক্রেডিট কার্ড কি
ক্রেডিট কার্ড হল এক ধরনের কার্ড যা ব্যাংক বা বিভিন্ন ফিন্যান্সিয়াল কোম্পানি গুলো তাদের গ্রাহকদের দিয়ে থাকে কেনাকাটার সুবিধারতে। ক্রেডিট কারডের মাধ্যমে মানুষ ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে কেনাকাটা করে বা বিল পরিশোধ করে এবং পরে এই টাকা ব্যাংক কে একটি নিরদিষ্ট সময়ে পরিশোধ করে দিতে হয়।
কেন ক্রেডিট কার্ড মানুষ ব্যবহার করে
- কার্ড টি সাইজে ছোট ও পাতলা হওয়ায় সহজে বহন যোগ্য
- নিরাপদ ও ঝামেলাহীন লেনদেন
- কেনাকাটার জন্য সবসময় টাকা সাথে নিয়ে থাকতে হয় না।
- সময় বাচায়।
ইবিএল ব্যাংক /Eastern Bank limited বাংলাদেশে ১৯৯২ সালে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। EBL কে বাংলাদেশে গ্রিন ব্যাংক ও বলা হয়।
Eastern Bank credit Card কয় ধরনের হয়
২১ ধরণের ক্রেডিট কার্ড দিয়ে থাকে ইবিএল ব্যাংক।
- EBL ভিসা ক্লাসিক ক্রেডিট কার্ড
- EBL ভিসা গোল্ড ক্রেডিট কার্ড
- EBL ভিসা প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড
- EBL ভিসা ওমেন প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড
- ভিসা সিগ্নেচার লাইট ক্রেডিট কার্ড
- ভিসা সিগ্নেচার এক্সিডেন্ট শিল্ড ক্রেডিট কার্ড
- মাস্টার কার্ড টাইটেনিয়াম ক্রেডিট কার্ড
- মাস্টার কার্ড ওয়ার্ল্ড ক্রেডিট কার্ড
- EBL ডিনারস ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড
- ইউনিয়ন পে কন্টাক্টলেস প্লাটিনাম
- EBL ভ্রুমস ডিনারস ক্লাব ক্রেডিট কার্ড
- ভিসা কর্পোরেট প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড
- EBL ভিসা এয়ার ফোরস প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড
- EBL ভিসা আর্মি প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড
- EBL ভিসা নেভি প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড
- মীনা বাজার কো-ব্রান্ডেড ভিসা কার্ড
- EBL স্বপ্ন কো-ব্রান্ডেড ভিসা কার্ড
- EBL বেসিস কো-ব্রান্ডেড ক্রেডিট কার্ড
- EBL ওয়ান্ডার ওমেন কার্ড কো-ব্রান্ড কার্ড
- EBL দারাজ ভিসা কো-ব্রান্ডেড ক্রেডিট কার্ড
- ভিসা ইনফিনিট ক্রেডিট কার্ড
কখন আপনি ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন
- চাকুরিজীবী হলে ৪০ হাজার টাকা বেতন হতে হবে।
- স্যালারি একাউন্ট থাকতে হবে
- নুন্যতম ৫০ হাজার টাকা FDR থাকতে হবে।
Eastern Bank credit Card এর জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে
Eastern Bank credit Card এর জন্য যে কাগজপত্র লাগে তা নিম্নে-
- ব্যাংক এর আবেদন ফর্ম
- NID এর কপি
- বৈধ পাসপোর্ট এর কপি(যদি থাকে)
- NID/ Passport না থাকলে অন্য কোন ফটো আইডির কপি।
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- ই-টিন সার্টিফিকেট/ ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়ার কপি।
- লেটেস্ট ট্যাক্স রিটার্ন সার্টিফিকেট
- নমিনির ছবি (প্রার্থীর স্বাক্ষর করা)
- ভিসিটিং কার্ড (যদি থাকে)
- লেটেস্ট স্যালারি সার্টিফিকেট (স্যালারি- একাউন্ট পেইড)
- ব্যাংক এস্টেটমেন্ট ৩ মাসের
- ব্যাংক এস্টেটমেন্ট ৬ মাসের (স্যালারি- পারশিয়ালি একাউন্ট পেইড )
- পূরণকৃত CIB ফর্ম ও অঙ্গিকার নামা
- ট্রেড লাইসেন্স ও ৬ মাসের ব্যাংক এস্টেট্মেন্ট (ব্যবসায়ি হলে)
- পেশাজীবী/ বাড়ির মালিক/ডাক্তার হলে -৬ মাসের ব্যাংক এস্টেট্মেন্ট, প্রফেশনাল সার্টিফিকেট ,জমির মালিকানার কাগজপত্র ও ভাড়া দেয়ার চুক্তি পত্রের কাগজপত্র ।
ক্রেডিট কার্ড এর জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
সরাসরি ব্যাংক এ গিয়ে সকল কাগজ পত্র জমা দেয়ার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে হয়।
EBL ভিসা ক্লাসিক ক্রেডিট কার্ড
- কন্টাক্টলেস ক্রেডিট কার্ড
- রিনিউয়াল ফি নেই।
- ফার্স্ট কার্ড চেকবুক –ফ্রি
- ৪৫ দিন পর্যন্ত ইনটারেস্ট –ফ্রি
- সাপ্লিমেটারি কার্ড ফ্রি
- ক্যাশ পেমেন্ট করা যায় ব্রাঞ্চে বা ইবিএল ড্রপ বক্সে।
- অটো ডেবিট ফ্যাসিলিটি ইবিএল একাউন্ট থেকে।
- পেমেন্ট করা যায় ই্বিএল ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।
- বিল পেমেন্ট কর যায় বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে।
- ২৪/৭ কল সেন্টার সুবিধা আছে।
- ৫০০০ টাকা পর্যন্ত কেনাকাটায় কার্ডের মাধ্যমে বিল দেয়া যায়।
EBL ভিসা গোল্ড ক্রেডিট কার্ড
- কন্টাক্টলেস ক্রেডিট কার্ড
- রিনিউয়াল ফি নেই।
- ফার্স্ট কার্ড চেকবুক –ফ্রি
- ৪৫ দিন পর্যন্ত ইনটারেস্ট –ফ্রি
- সাপ্লিমেটারি কার্ড ফ্রি
- ক্যাশ পেমেন্ট করা যায় ব্রাঞ্চে বা ইবিএল ড্রপ বক্সে।
- অটো ডেবিট ফ্যাসিলিটি ইবিএল একাউন্ট থেকে।
- পেমেন্ট করা যায় ই্বিএল ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।
- বিল পেমেন্ট কর যায় বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে।
- ২৪/৭ কল সেন্টার সুবিধা আছে।
- ৫০০০ টাকা পর্যন্ত কেনাকাটায় কার্ডের মাধ্যমে বিল দেয়া যায়।
- ১০০ এর মত শপ, রেস্টুরেন্ট ,ট্রাভেল এজেন্সিতে ডিস্কাউন্ট পাবার সুবিধা।
- আছে ইবিএল যিপ সুবিধা।
- কার্ড হারিয়ে যাবার ৭২ ঘন্টার মাঝে নতুন কার্ড দেয়া হয়।
EBL ভিসা প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড
- মেক্সিমাম ক্রেডিট লিমিট ১০ লক্ষ টাকা।
- রিনিউয়াল ফি নেই।
- কমপ্লিমেন্টারি এক্সেস আছে স্কাই লঞ্জ এ।
- রিস্ক এসুরেন্স মেক্সিমাম ১০ লক্ষ টাকা।
- ৪৫ দিন পর্যন্ত ইনটারেস্ট –ফ্রি
- ১০০ এর মত শপ, রেস্টুরেন্ট ,ট্রাভেল এজেন্সিতে ডিস্কাউন্ট পাবার সুবিধা।
- ফার্স্ট কার্ড চেকবুক –ফ্রি
- সাপ্লিমেটারি কার্ড ফ্রি
- ক্যাশ পেমেন্ট করা যায় ব্রাঞ্চে বা ইবিএল ড্রপ বক্সে।
- অটো ডেবিট ফ্যাসিলিটি ইবিএল একাউন্ট থেকে।
- পেমেন্ট করা যায় ই্বিএল ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।
- বিল পেমেন্ট কর যায় বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে।
- ২৪/৭ কল সেন্টার সুবিধা আছে।
- EBL Zip ও Easy credit সুবিধা ২ টি পাওয়া যাবে এই কার্ডে ইন্সটল্মেন্ট এর ক্ষেত্রে।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম
- বছরে ১৮ টী ট্রানজেকশনে বাৎসরিক কার্ড চার্জ ফ্রি
- EBL এর সব ক্রেডিট কার্ড এ ডুয়েল কারেন্সির সুবিধা আছে।
- দেশের বাইরে EBLক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটা করা যায়।
- ক্রেডিট কার্ডের বিল ৪৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হয় নয়ত চার্জ কাতা হয়।
Know More-
How to get City Bank Bike loan | কিভাবে সিটি ব্যাংক ”বাইক” লোন পাওয়া যায়
How to open an UCB Bank student Account | কিভাবে ইউসিবি ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে হয়
How to open Brac Bank Student Account | কিভাবে ব্র্যাক ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে হয়
FAQ
Eastern Bank credit Card কী?
Eastern Bank credit Card হল ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক প্রদত্ত একটি আর্থিক সরঞ্জাম। এটি ব্যবহার করে আপনি দ্রুত এবং সহজে কেনাকাটা করতে পারবেন। এটি আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ধার দেয়, যা আপনি পরবর্তীতে পরিশোধ করতে পারবেন।
Eastern Bank credit Card এর ধরন কী কী?
ইবিএল বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড অফার করে, যেমন প্লাটিনাম, গোল্ড, ক্লাসিক ইত্যাদি। প্রতিটি কার্ডের নিজস্ব সুবিধা এবং ফি রয়েছে।
Eastern Bank credit Card এর সুবিধা কী কী?
Eastern Bank credit Card এর বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে, যেমন ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট, ভ্রমণ বীমা, বিমানবন্দর লাউঞ্জ অ্যাক্সেস ইত্যাদি।