আজকে আমরা আলোচনা করব আপনাদের মাঝে IDLC Personal loan নিয়ে। মানুষ তার প্রয়োজনে / বিপদে পড়লে / কোন কোন ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ভাবে জরুরি ভিত্তিতে টাকার প্রয়োজন পড়ে। সেক্ষেত্রে মানুষ ঋণ নেয়ার চিন্তা করে। বড় অঙ্কের ঋণ নেয়ার জন্য প্রথমে মানুষ ‘ব্যাংক ঋণ ‘ এর কথা চিন্তা করে কিন্তু এটা বেশ সময় সাপেক্ষ হওয়ায় মানুষ অন্য জনের কাছ থেকে ঋণ নেয়ার চেষ্টা করে কিন্তু সে পথও অনেক সময় খোলা থাকেনা।এইসব কিছু বিবেচনা করে আইডিএলসি দিচ্ছে পারসোনাল লোন।
আইডিএলসি ফাইন্যান্স বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সেবা প্রদান করে, তার মধ্যে ব্যক্তিগত ঋণও অন্যতম। আপনার ব্যক্তিগত প্রয়োজন মেটাতে এই ঋণ একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
IDLC হচ্ছে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় নন- ব্যাংকিং ফিন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান।
IDLC Personal loan কেন নেবেন?
- লচিলা পরিশোধের মেয়াদ: আপনার সুবিধামত পরিশোধের মেয়াদ নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন।
- সহজ প্রক্রিয়া: ঋণের জন্য আবেদন করা এবং অনুমোদন পাওয়া খুব সহজ।
- কম কাগজপত্র: সাধারণত অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় কম কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়।
- দ্রুত অনুমোদন: আপনার আবেদন দ্রুত পর্যালোচনা করা হয় এবং অনুমোদন দেওয়া হয়।
IDLC Personal loan এর আবেদনের যোগ্যতাঃ
• চাকুরিজীবী ।
• ব্যবসায়ী ।
• বয়স ২০-৬০ বছর হতে হবে ।
• নুন্যতম ২ বছর চাকুরির বয়স হতে হবে।(বর্তমান প্রতিষ্ঠানে)
• বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে ।
লোন আবেদনের পদ্ধতি কিঃ
• সরাসরি ব্যাংক এ গিয়ে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে লোন পাওয়া যায়।
• ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
ওয়েবসাইট থেকে IDLC Personal loan এর আবেদন প্রক্রিয়াঃ
• www.idlc.com ওয়েবসাইটে যেতে হবে
• Apply now তে ক্লিক করতে হবে।
• লোন ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে
• প্রার্থীর যাবতীয় তথ্য ও ডকুমেন্টস দিতে হবে।
• Submit অপশনে ক্লিক করতে হবে।
• Thank you-মেসেজ পাওয়ার পর ok বাটন এ ক্লিক করতে হবে
• ৪৮-৭২ ঘন্টার মাঝে idlc এর কল সেন্টার থেকে ফোনে পারসোনাল ঋণ সম্পরকে জানানো হবে।
আইডিএলসি (IDLC) থেকে পারসোনাল লোন পেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগেঃ
• জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি (প্রার্থী ও গ্রান্টর উভয়ের)।
• পাসপোরট সাইজ ছবি (প্রার্থী ও গ্রান্টর উভয়ের)।
• শেষ মাসের বসত বাড়ির বিলের কপি ( বিদ্যুৎ বিল)।
• চাকুরিজীবী হলে সর্বশেষ স্যালারি সার্টিফিকেট ও পে-স্লিপ।
• সর্বশেষ ১ বছরের ব্যাংক এস্টেটমেন্ট লাগবে।
• সর্বশেষ আয়কর প্রদানের কাগজ পত্র ।
• ব্যবসায়ী হলে ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়োজনে দরকারি কাগজ চাওয়া হতে পারে।
IDLC Personal loan এর সুবিধাঃ
• সরবোচ্চ ১০ লাখ টাকা পযন্ত ঋণ দেয়া হয়।
• নুন্যতম ৫০ হাজার টাকা লোন দেয়া হয়।
• ১ থেকে ৫ বছর মেয়াদি ঋণ দেয়া হয়।
• ইন্টারেস্ট হল ১৬-১৮%।
• আংশিক /পুরাপুরি লোন পরিশোধের সুবিধা ঋণের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার আগেই।
• ব্যাংক এর যে কোন শাখা থেকে ঋণ গ্রহন ও কিস্তি প্রদানের সুবিধা।
• ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লোন এর আবেদন করার সুবিধা।
• ২৪ ঘন্টা কল সেন্টার সুবিধা @১৬২০৯।
• লোন প্রসেসিং ফি সামান্য।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
- সুদের হার: ঋণের সুদের হার IDLC Personal loan এর বিভিন্ন প্যাকেজ এবং আপনার ক্রেডিট স্কোরের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
- পরিশোধের শর্তাবলী: ঋণ পরিশোধের সময়সীমা, মাসিক কিস্তি ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
- অতিরিক্ত চার্জ: ঋণের সাথে কোন ধরনের অতিরিক্ত চার্জ যুক্ত আছে, তা জেনে নিন।
আরও জানুন-
- ডার্চ বাংলাব্যাংক একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় ? How to open an Dutch Bangla Bank Account
- How to open an UCB Bank savings Account | কিভাবে ইউসিবি ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুলতে হয়
- How to open an EBL bank account | কিভাবে ইবিএল ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হয়।
- Don’t Miss Out! 😍 Transcom Beverages job circular | ট্রান্সকম বেভারেজেস লিমিটেড চাকরির বিজ্ঞপ্তি
FAQ
কিস্তি পরিশোধে দেরি হলে কি হবে?
কিস্তি পরিশোধে দেরি হলে আপনাকে অতিরিক্ত চার্জ দিতে হতে পারে এবং আপনার ক্রেডিট স্কোর প্রভাবিত হতে পারে।
আমি কত পরিমাণ ঋণ নিতে পারব?
ঋণের পরিমাণ আপনার আয়, ক্রেডিট স্কোর এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
ঋণের সুদের হার কত?
সুদের হার পরিবর্তনশীল এবং বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে।
ঋণের মেয়াদ কত হতে পারে?
ঋণের মেয়াদ সাধারণত কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত হতে পারে।
IDLC Personal loan নিতে কি ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন?
IDLC Personal loan নিতে সাধারণত পরিচয়পত্র, আয়ের প্রমাণ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে।